ধনেশ পাখির ঠোঠে চুমু খায় স্বর্গের দূত পরমহংস স্বর্গ ছেড়ে আবারো এসেছেন লোকালয়ে মৎস্য ভূক মানুষের কার্বণ ইমিশন তাকে আটকে দেয় চৌহাট্রার মোড়ে সহযোদ্ধারা গেলেন কই? ক্লেদাক্ত নাগরিক ভীড়ে উড়ে দ্বৈপায়ন চিল ঠাঠ্ঠা নয় একে একে মুঠোফোন বেঝে উঠলে ধনেশ পাখি ও ডাকে পরমহংস একটু ক্রোধান্নিতো হলে প্রটোকল ঠিক করে আসেন বিবেকানন্দ যিনি এতোদিন আনন্দ মঠে ব্যস্ত ছিলেন, তারতো ব্যস্ত থাকার কথা- রাজ্যের কাজ তবুও নাগরিক সভায় এসেছেন তিনি- দিবেন ভাষন বিষয় এবার সুশাসন।
ধনেশ পাখির আছে আলাদা জগৎ। বিশ্বব্যাংক যে টাকা লগ্নি করে তাতে ছন্নছাড়া চিল কতোটুক পায়। উচু ভবনগুলো দেখিয়ে বিবেকানন্দ বোঝাতে চেষ্টাকরেন পদ্মাসেতু কেনো হলোনা। স্বর্গের দূতেরা ধনেশ পাখিকে দেখিয়ে দেয় কিভাবে মাৎসন্যায় কার্যকর হয়। তার জগৎ আলাদা, সে একা একা অনেক কিছু পারে যদিও তার সহচর কম নয়- বিবেকানন্দ বলতে থাকেন।
গরমে ঘেমে উঠে সাংবাদিক বুদ্ধিজীবিরা তার ফুটোনোট নেয়। আগামিকাল এগুলো পত্রিকায় যাবে, টিভিতে আলোচনায় দফারফা হবে । যার যার অবস্হানগতো দিক থেকে মূল্যায়ন দিতে হবে।
তৃতীয় বিশ্বে মুদ্রাস্ফিতি ধনেশ পাখির ঠোঠে লাগে না ধনেশ পাখি কোথাও ঠোঠ বসালে এটা অনেকটা কুঠারাঘাতের মতো লাগে বিবেকানন্দ বলতে থাকেন টুইন টাওয়ার ধ্বসে পড়ার ঘটনায় কিভাবে বিন লাদেন ঢুকলো আরবের সাথে প্রেম এবং পরকিয়ার হালচাল ইতিমধ্যে আপনারা লক্ষ্য করেছেন। সংঘাত অনিবার্য খেলতে হলে পরকিয়ায় পাকা হতে হয়। ধনেশের লম্বা ঠোঠ দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন। অতি কমমূল্যে চায়নায় তৈরি ধনেশের কিছু মডেল নেড়ে চেড়ে শুষ্ক কাঠ গলাটাকে ভেজাবার জন্য তার চোখ পড়ে সামনে রাখা পানির গ্লাসে।
ধনেশ পাখির ঠোঠে চুমু খায় স্বর্গের দূত পরমহংস কি শুনছেন ? করতালির ভিতর থেকে প্রশ্নবান আসতে থাকে কেউ একজন বলে একটু হলমার্ক নিয়ে বলেন কুইক রেনটাল বিষয়ে জানতে চাই বিবেকানন্দ এড়িয়ে যেতে পারেন যদিও ধনেশ পাখির চোখ তার দিকে আছে তিনি বলতে থাকেন সুশাসনটা নিজের। এটা নিজেকে করতে হবে। ধার দেনায় সুশাসন হয়না। বালখিল্য মূল্যবোদ মৌলবাদকে উস্কানি দেয় । আপনারা নিজেরটা ঠিক করেন, হেফাজত হেফাজতে থাকবে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এড়িয়ে গেলে হবো না উন্নয়ন অর্থনীতিতে সুশাসনের বিকল্প নেই। ধনেশ পাখিরা জেগে ঘুমায়না। এক্ষেত্র ল্যাটিন আমেরিকা আপনারা ফলো করতে পারেন। কাছে থেকে এরা ধনেশ পাখির ঠোঠ স্পর্শ করেনা।
ধধি মিষ্টান্ন খেতে হলে খামারায়নের বিকল্প নেই। গাভীদের উলানে এমনে দুধ ফলবেনা। বিবেকানন্দ বলতে থাকেন, রাজনীতি আমার বিষয় না তবে সুশাসনের জন্য ওসমান- হাজারীদের আপনাকে থামাতে হবে। জীবন আগে যদি ভাগে থাকে সুশাসন স্বর্গের দূত যাই বলুক ধনেশ পাখিও মাটিতে চুমু খাবে গণেশের নামে তপোবনে গাভীদের উলনে দুধের নহর বইবে সুশাসন পুষ্টিতে ধনেশের প্রটোকল ফিরিয়ে দেবে যুগপৎ আমরা শুধু ধনেশের ডানা ঝাপটানো দেখবো –যতোই চুমু খাক স্বর্গের দূত। পরমহংস গেলেন ফিরে। বিজলি চমকালো কুইক রেনটালে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খায়রুজ্জামান সাদেক
রম্য কবিতা এর আগে কখনো লিখিনী, বিষয় বিচারে কবিতায় রম্যরস ফুটিয়ে তোলা বেশ কঠিন। কবিতায় প্রেম ভালোবাসা, দ্রোহ, রোষাগ্নী ইত্যাদি বলা যায়। বলা যায় কারণ, অকারণ মাথা-ব্যাথার ব্যাকরণ-ও। সেই অভ্যাস থেকে যেটুকু হয়, একটু চেষ্টা করি- তা হয়তো নিজের কাছে নিজের কবিতা হয়, কিন্তু তা যখন শুনি আপনাদের ভালো লাগে- তখন ঊদ্যিপ্ত হই, ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাদের- যারা পড়েছেন, জানিয়েছেন আপনাদের ভালোলাগা।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
জীবন আগে যদি ভাগে থাকে সুশাসন
স্বর্গের দূত যাই বলুক ধনেশ পাখিও মাটিতে চুমু খাবে
গণেশের নামে তপোবনে গাভীদের উলনে দুধের নহর বইবে
সুশাসন পুষ্টিতে ধনেশের প্রটোকল ফিরিয়ে দেবে যুগপৎ
আমরা শুধু ধনেশের ডানা ঝাপটানো দেখবো –যতোই চুমু খাক স্বর্গের দূত।
পরমহংস গেলেন ফিরে। বিজলি চমকালো কুইক রেনটালে।.......// ভীষণ মজার একটা কবিতা.....রম্য রসে একেবারে ভরপুর.....শেষের দিকে তো যাকে বলে ক্ষিরের পুকুর.............সাদেক ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।